বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামটি গত ৫২ বছরে সংঘটিত উন্নয়ন পর্যায়গুলির ধারাবাহিকতায় উদ্ভূত হয়েছে। এই দেশে পরিবার পরিকল্পনা প্রচেষ্টার শুরু ১৯৫০সালে সামাজিক ও চিকিৎসা কর্মীদের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রচেষ্টা হিসেবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি কৌশল হিসেবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৬৫-৯৫সালের মাঝামাঝি সময়ে সি.আর.পি. বাংলাদেশে পল্লী পরিকল্পনা কর্মসূচির বেশ কয়েকটি পরিবর্তনীয় পর্যায় রয়েছে। পর্যায়ক্রম নিম্নরূপভাবে চিত্রিত করা যেতে পারে:
প্রথম পর্যায়: ১৯৫৩-৫৯: স্বেচ্ছাসেবী এবং আধা-সরকারি প্রচেষ্টা;
দিত্বীয় পর্যায়: ১৯৬০-৬৪: সরকারি পৃষ্টপোষকতায় ক্লিনিক-ভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রাম;
তৃতীয় পর্যায়: ১৯৬৫-৭০: মাঠ পর্যায়ে সরকারি পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রাম;
চতুর্থ পর্যায়: ১৯৭২-৭৪: সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রাম;
পঞ্চম পর্যায়: ১৯৭৫-৮০: মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য (MCL) - মাল্টি-সেক্টর প্রোগ্রাম ভিত্তিক;
ষষ্ট পর্যায়: ১৯৮০-৮৫: কার্যকরী সমন্বিত কর্মসূচী;
সপ্তম পর্যায়: ১৯৮৫-৯০: নিরবচ্ছিন্ন পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রাম;
অষ্টম পর্যায়: ১৯৯০-৯৫: জনসাধারণের সেবা প্রদান এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি হ্রাস;
নবম পর্যায়: ১৯৯৮-২০০৩: স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা সেক্টর প্রোগ্রাম (HPSP);
দশম পর্যায়: ২০০৩-২০১১: স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সেক্টর প্রোগ্রাম (HNPSP);
একাদশ পর্যায়: ২০১১-২০১৬: স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচি (HNPSDP);
দ্বাদশ পর্যায়: ২০১৭-২০২২: চতুর্থ স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সেক্টর প্রোগ্রাম (4th HPNSP);
১৯৮১ সালের ১৮ই এপ্রিল, তৎকালিন লামা মহকুমার ভৌগলিক ও প্রশাসনিক সীমানাসহ সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পরবর্তি দুই বছর পর ১২/১১/১৯৮৩ সালে জনাব মোঃ আবদুল গোফরান মহোদয় প্রথম উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা হিসাবে অত্র জেলায় যোগদান করেন। মূলতঃ তখন থেকেই বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রশাসনিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি সেবা প্রাপ্তির সহজলভ্য করা এবং সেবা সমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা রূপকল্প-২০২১, চতুর্থ সেক্টর প্রোগ্রাম এইচপিএনএসপি(২০১৭-২০২২) শীর্ষক কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও এসডিজি (২০৩০) বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টির উপখাত সমূহের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কমিটি, স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা কমিটি এবং ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির পুনঃগঠন ও সচল করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে ২৪/৭ ঘন্টা স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান, কার্যকর স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ANC, PNC, নিরাপদ প্রসব, নবজাতকের সেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন ও পুষ্টি স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হ্রাস, রোগের প্রার্দুভাব রোধ, মৃত্যুর হার হ্রাস, পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা, অসংক্রামক রোগ, ইমার্জিন-রিইমার্জিন রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ ও শূণ্যের কোটায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
সর্বোপরি জনগনের মাঝে সার্বজনিন স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। এটিই আমাদের অঙ্গীকার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস